:::::::::::::::::::::মেয়েটার ভালোবাসা টাকার জন্যে, মানুষের জন্যে নয়।::::::::::::::::::::::
একটার মেয়ে নাম মনিতা(ছদ্মনাম)।
বাবা মায়ে বড় মেয়ে।
কেন যেন মনিতার বেশীদূর পড়া লিখা হয় নি।
সে ছিল লম্বা এবং উজ্জ্বল শ্যামলা।
যখন তার বয়স তখন ১৬ বছর।
তখন বিয়ের জন্যে অনেক প্রস্তাব আসতে শুরু করে।
মনিতার বাবা মায়ের ইচ্ছাতেই বিয়ে হয় রাজিব নামের একজন জুতা দোকানদারের সাথে।
ভালোই চলছিল তাদের জীবন।
তাদের একটা বিল্ডিং ও ছিল।
কিন্তুু মনিতা রাজিবকে মন থেকে মেনে নিতে পারে নি।কারন রাজিব ছিল কালো।
রাজিব মনিতার খুব খেয়াল রাখতো,যত্ন করতো।
তবুও সে সুখে ছিল না।
মনিতা ছিল উচ্চবিলাসী।
তার ইচ্ছে ছিল আরো ধনী লোকের সাথে বিয়ে হওয়ার।
এভাবেই দুবছর পর তাদের ঘর আলো করে আসে একটি ছেলে।তবুও মনিতা সংসারটাকে আপন করে নিতে পারে নি।
ছেলেটার বয়স পাঁচবছর পূর্ন হল তখন
মনিতার স্বামীর এক বন্ধু আসে তাদের বাসায়।
প্রথম কথাতেই খুব আপন করে নেয় তার স্বামীর বন্ধুটিকে।
এভাবে মাঝে মাঝে আসতে শুরু করে লোকটি।
একরকম ভাব হয়ে যায় লোকটির সাথে।
লোকটার সাথে নিজের ভালোমন্দ কথা শেয়ার করত মনিতা।লোকটা জানাল সে একটা বড় কোম্পানিতে জব করে।
লোকটা আসা যাওয়া নিয়ে মনিতার স্বামীর কোন মাথাব্যথা ছিল না।কারন লোকটা ছিল মনিতার স্বামীর খুব পুরনো এবং কাছের বন্ধু।
এ ভাবে আসা যাওয়া করতে থাকে লোকটি।
এক পর্যায়ে মনিতার সাথে খুব ঘনিষ্ঠ হয়ে যায় লোকটা।
মনিতার এ সংসার ভালো লাগে না এটাও জানতে পারে লোকটা।
মনিতা ছিল উচ্চবিলাসী এটাও জানতে পারে লোকটা।
এর পর থেকেই লোকটা টাই,শার্ট পড়ে আসতো।
সাথে আনতো মটরসাইকেল।
মনিতা এসব দেখে ভাবলো লোকটা খুব ধনী।
একদিন লোকটা মনিতাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়।
মনিতা সাথে সাথে রাজি হয়ে যায়।
কারন মনিতা চাইছিল এমন একটা ধনী ছেলের সাথেই তার বিয়ে হোক।
তার সাত বছরের সংসার এবং পাঁচ বছরের ছেলের মায়া ত্যাগ করে রাজিবের বন্ধুর হাত ধরে পালিয়ে যায় মনিতা।
কারন মনিতার উচ্চবিলাসীতার কাছে কোন কিছুই বাঁধা হতে পারে নি।
ছেলেটা মনিতাকে বিয়ে করে ছেলেটার খালার বাসায় উঠে।
সে খানে কিছুদিন থাকার পর মনিতা জানতে চায়,
আমরা তোমার বাড়িতে উঠবো কখন?এখানে আর ভালো লাগছে না।
ছেলেটা বার বার একই উত্তর দেয়,
এইতো দুদিন পর।
আবার মনিতার একই প্রশ্ন আবার ছেলেটার সেই একই উত্তর, দুদিন পর।
এক রকম বাধ্য হয়েই ছেলেটা বলতে শুরু করে,
আমার বাড়ি,গাড়ি কিছুই নেই।আমি বেকার।
তোমাকে ভালো লেগেছিল তাই তোমার সাথে এ সব অভিনয় করে তোমাকে বিয়ে করেছি।
বাইকটাও আমার না।এক বন্ধুর থেকে আনতাম।
এখন যদি তুমি চাও তো চলে যেতে পার।
মনিতা এ সব শোনার পর স্তব্ধ হয়ে রইল।
তার কিছুই করার ছিল না।
সে এখন নিজের ভূল বুঝতে পারছে।এতদিন একটা অদৃশ্য সোনার হরিনের পিছনে ছুটেছিল।
সেটা সোনার হরিন ছিল না,সেটা ছিল একটা ছাইয়ের বস্তা।
মনিতার আর কিছুই করার ছিল না।
কারন যে সংসার আর ছেলেকে ছেড়ে চলে এসেছে, সেখানে আর ফিরে যাওয়া সম্ভব না।
এভাবেই বেকার ছেলেটার সাথে সংসার শুরু করে মনিতা।আরেকটা কথা জানতে পারে মনিতা,
ছেলেটা আগে একটা বিয়ে করেছিল।কিন্তুু মেয়েটা ছেলেটাকে ডিভোর্স দিয়ে দেয়।কারন ছেলেটা বেকার ছিল বলে।
এটাই বাস্তব।বাস্তবকে মেনে নিতে হয়েছে।
উপরের ঘটনাটা পুরোই সত্য।
এটা আমাদের এলাকার এক মহিলার জীবনের সত্য গল্প।
ছাদে বসে লেখাটা লিখছি আর মহিলাটার ভাড়া নেওয়া টিনের+বেড়ার ঘরটার দিকে চেয়ে দেখছি।
একটা চেরাগ জলছে তাদের ঘরে।
আসলে কারেন্ট নেইতো তাই।
আর মহিলাটার দ্বিতীয় স্বামী এখন আর বেকার না।
একজন ডাক্তারের প্রাইভেট CAR চালায়।সে এখন ড্রাইভার।
কোন রকম দিন চালায়।
আর এখন তাদের দুটো ছেলে হয়েছে।একটার বয়স ৬ বছর আর আরেকটার বয়স ১০ মাস।
আর মহিলাটার প্রথম স্বামী এখনো মাঝে মাঝে এসে দেখে যায়।
আবার ফিরে যেতে বলেছিল তাদের সংসারে।
মহিলাটি ফিরে যান নি।
তাই তিনি আরেকটা বিয়ে করেছেন শুধুমাত্র সেই পাঁচ বছরের ছেলেটার জন্যে।
এখন সেই পাঁচ বছরের ছেলোটার বয়স প্রায় ১৬/১৭ বছর।
মাঝে মাঝে মায়ের সাথে দেখা করে যায়।
রক্তের সম্পর্কতো।তাই ছিন্ন করা কঠিন।
ঘটনাটা মহিলাটার বোন থেকে শোনা।
মহিলার বোন আমাদের বাসার ছুটা বুয়া।
আমার এক ফ্রেন্ড থেকেও এই ঘটনা শুনছি।
প্রায় কিছুদিন পর পর মহিলার প্রথম সংসারে ফেলে আসা ছেলেটাকে দেখি।
খোঁজ খবর নিয়ে যায়।
আজব কথা হল,মহিলার দ্বিতীয় স্বামীকে ছেলেটা আঙ্কেল বলে ডাকে।
ঘটনাটা লিখার উদ্দেশ্য হল,
কিছু কিছু মেয়ে আছে টাকার জন্যে নিজের আসল ভালোবাসাকে ফেলে টাকার পিছনে দৌঁড়ান।
যা কোন মতেই ভালো না।
তাদের জন্যে আশা করি শিক্ষনীয় হবে গল্পটা।
মরাল: চকচক করলেই সোনা হয় না।
একটাকা দামের চকলেটের প্যাকেটও রোদে চকচক করে।
Written by: বালকের অভিমান।
একটার মেয়ে নাম মনিতা(ছদ্মনাম)।
বাবা মায়ে বড় মেয়ে।
কেন যেন মনিতার বেশীদূর পড়া লিখা হয় নি।
সে ছিল লম্বা এবং উজ্জ্বল শ্যামলা।
যখন তার বয়স তখন ১৬ বছর।
তখন বিয়ের জন্যে অনেক প্রস্তাব আসতে শুরু করে।
মনিতার বাবা মায়ের ইচ্ছাতেই বিয়ে হয় রাজিব নামের একজন জুতা দোকানদারের সাথে।
ভালোই চলছিল তাদের জীবন।
তাদের একটা বিল্ডিং ও ছিল।
কিন্তুু মনিতা রাজিবকে মন থেকে মেনে নিতে পারে নি।কারন রাজিব ছিল কালো।
রাজিব মনিতার খুব খেয়াল রাখতো,যত্ন করতো।
তবুও সে সুখে ছিল না।
মনিতা ছিল উচ্চবিলাসী।
তার ইচ্ছে ছিল আরো ধনী লোকের সাথে বিয়ে হওয়ার।
এভাবেই দুবছর পর তাদের ঘর আলো করে আসে একটি ছেলে।তবুও মনিতা সংসারটাকে আপন করে নিতে পারে নি।
ছেলেটার বয়স পাঁচবছর পূর্ন হল তখন
মনিতার স্বামীর এক বন্ধু আসে তাদের বাসায়।
প্রথম কথাতেই খুব আপন করে নেয় তার স্বামীর বন্ধুটিকে।
এভাবে মাঝে মাঝে আসতে শুরু করে লোকটি।
একরকম ভাব হয়ে যায় লোকটির সাথে।
লোকটার সাথে নিজের ভালোমন্দ কথা শেয়ার করত মনিতা।লোকটা জানাল সে একটা বড় কোম্পানিতে জব করে।
লোকটা আসা যাওয়া নিয়ে মনিতার স্বামীর কোন মাথাব্যথা ছিল না।কারন লোকটা ছিল মনিতার স্বামীর খুব পুরনো এবং কাছের বন্ধু।
এ ভাবে আসা যাওয়া করতে থাকে লোকটি।
এক পর্যায়ে মনিতার সাথে খুব ঘনিষ্ঠ হয়ে যায় লোকটা।
মনিতার এ সংসার ভালো লাগে না এটাও জানতে পারে লোকটা।
মনিতা ছিল উচ্চবিলাসী এটাও জানতে পারে লোকটা।
এর পর থেকেই লোকটা টাই,শার্ট পড়ে আসতো।
সাথে আনতো মটরসাইকেল।
মনিতা এসব দেখে ভাবলো লোকটা খুব ধনী।
একদিন লোকটা মনিতাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়।
মনিতা সাথে সাথে রাজি হয়ে যায়।
কারন মনিতা চাইছিল এমন একটা ধনী ছেলের সাথেই তার বিয়ে হোক।
তার সাত বছরের সংসার এবং পাঁচ বছরের ছেলের মায়া ত্যাগ করে রাজিবের বন্ধুর হাত ধরে পালিয়ে যায় মনিতা।
কারন মনিতার উচ্চবিলাসীতার কাছে কোন কিছুই বাঁধা হতে পারে নি।
ছেলেটা মনিতাকে বিয়ে করে ছেলেটার খালার বাসায় উঠে।
সে খানে কিছুদিন থাকার পর মনিতা জানতে চায়,
আমরা তোমার বাড়িতে উঠবো কখন?এখানে আর ভালো লাগছে না।
ছেলেটা বার বার একই উত্তর দেয়,
এইতো দুদিন পর।
আবার মনিতার একই প্রশ্ন আবার ছেলেটার সেই একই উত্তর, দুদিন পর।
এক রকম বাধ্য হয়েই ছেলেটা বলতে শুরু করে,
আমার বাড়ি,গাড়ি কিছুই নেই।আমি বেকার।
তোমাকে ভালো লেগেছিল তাই তোমার সাথে এ সব অভিনয় করে তোমাকে বিয়ে করেছি।
বাইকটাও আমার না।এক বন্ধুর থেকে আনতাম।
এখন যদি তুমি চাও তো চলে যেতে পার।
মনিতা এ সব শোনার পর স্তব্ধ হয়ে রইল।
তার কিছুই করার ছিল না।
সে এখন নিজের ভূল বুঝতে পারছে।এতদিন একটা অদৃশ্য সোনার হরিনের পিছনে ছুটেছিল।
সেটা সোনার হরিন ছিল না,সেটা ছিল একটা ছাইয়ের বস্তা।
মনিতার আর কিছুই করার ছিল না।
কারন যে সংসার আর ছেলেকে ছেড়ে চলে এসেছে, সেখানে আর ফিরে যাওয়া সম্ভব না।
এভাবেই বেকার ছেলেটার সাথে সংসার শুরু করে মনিতা।আরেকটা কথা জানতে পারে মনিতা,
ছেলেটা আগে একটা বিয়ে করেছিল।কিন্তুু মেয়েটা ছেলেটাকে ডিভোর্স দিয়ে দেয়।কারন ছেলেটা বেকার ছিল বলে।
এটাই বাস্তব।বাস্তবকে মেনে নিতে হয়েছে।
উপরের ঘটনাটা পুরোই সত্য।
এটা আমাদের এলাকার এক মহিলার জীবনের সত্য গল্প।
ছাদে বসে লেখাটা লিখছি আর মহিলাটার ভাড়া নেওয়া টিনের+বেড়ার ঘরটার দিকে চেয়ে দেখছি।
একটা চেরাগ জলছে তাদের ঘরে।
আসলে কারেন্ট নেইতো তাই।
আর মহিলাটার দ্বিতীয় স্বামী এখন আর বেকার না।
একজন ডাক্তারের প্রাইভেট CAR চালায়।সে এখন ড্রাইভার।
কোন রকম দিন চালায়।
আর এখন তাদের দুটো ছেলে হয়েছে।একটার বয়স ৬ বছর আর আরেকটার বয়স ১০ মাস।
আর মহিলাটার প্রথম স্বামী এখনো মাঝে মাঝে এসে দেখে যায়।
আবার ফিরে যেতে বলেছিল তাদের সংসারে।
মহিলাটি ফিরে যান নি।
তাই তিনি আরেকটা বিয়ে করেছেন শুধুমাত্র সেই পাঁচ বছরের ছেলেটার জন্যে।
এখন সেই পাঁচ বছরের ছেলোটার বয়স প্রায় ১৬/১৭ বছর।
মাঝে মাঝে মায়ের সাথে দেখা করে যায়।
রক্তের সম্পর্কতো।তাই ছিন্ন করা কঠিন।
ঘটনাটা মহিলাটার বোন থেকে শোনা।
মহিলার বোন আমাদের বাসার ছুটা বুয়া।
আমার এক ফ্রেন্ড থেকেও এই ঘটনা শুনছি।
প্রায় কিছুদিন পর পর মহিলার প্রথম সংসারে ফেলে আসা ছেলেটাকে দেখি।
খোঁজ খবর নিয়ে যায়।
আজব কথা হল,মহিলার দ্বিতীয় স্বামীকে ছেলেটা আঙ্কেল বলে ডাকে।
ঘটনাটা লিখার উদ্দেশ্য হল,
কিছু কিছু মেয়ে আছে টাকার জন্যে নিজের আসল ভালোবাসাকে ফেলে টাকার পিছনে দৌঁড়ান।
যা কোন মতেই ভালো না।
তাদের জন্যে আশা করি শিক্ষনীয় হবে গল্পটা।
মরাল: চকচক করলেই সোনা হয় না।
একটাকা দামের চকলেটের প্যাকেটও রোদে চকচক করে।
Written by: বালকের অভিমান।
No comments:
Post a Comment